ইমাম মাহাদী আসার আরেকটি আলামত প্রকাশ পেলো যা সৌদি রাজপরিবারের তিনপ্রভাবশালী সদস্যদের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের মাধ্যমে প্রকাশ পেলো ।
দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার
অভিযোগে গ্রেফতার হলেন সৌদি রাজপরিবারের তিন প্রভাবশালী সদস্য।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাদশার ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আব্দুল আজিজ এবং ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফ ।
২০১৭ সালে চাচাতো ভাই নায়েফ কে সরিয়ে ক্রাউন প্রিন্স এর দায়িত্ব পান মোহাম্মদ বিন সালমান। সে সময় থেকে প্রিন্সের চলাচল সীমিত করা হয় এবং বাড়ানো হয় নজরদারি। সেই বছর দুর্নীতি দমনের অংশ হিসেবে রাজপরিবারে ব্যাপক ধরপাকড় চালান যুবরাজ সালমান।
আজ থেকে চৌদ্দশত বছর আগে রাসুল সাঃ বলে গিয়েছিলেন
,হাদীসটি হলঃ তোমাদের রাষ্ট্রীয় ধনভান্ডার এবং কাবার ভান্ডার দখল করার জন্য তিনজন যুদ্ধ করবে। এরা প্রত্যেকেই প্রেসিডেন্ট প্রিন্স
বা পুত্র । তারা অনেক যুদ্ধের পরেও তিনজনের মধ্যে একজন ও পাবেনা। রাষ্ট্রশক্তি এদের কাউকে দেওয়া হবে না।
সাওবান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা বলেন, এই কথা বলার পর নবী কারীম সা. আরেকটি কথা বলেছেন , কথাটি হলো, তিন প্রেসিডেন্ট পুত্রের যুদ্ধের শেষে , পূর্ব দিক থেকে কালো পতাকাধারী
একদল আসবে সৌদি আরব দখল করতে। সেই কালো পতাকা লেখা থাকবে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সা. । সেই কালো পতাকাধারী দল এই তিন প্রেসিডেন্ট পুত্রকে এমন ভাবে হত্যা করবে, যে হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে
কেউ কাউকে করে
।
ইমামমাহাদী আসার আগের আরোদুটি শক্ত নিদর্শন হচ্ছে-
.
পবিত্র
সাম (সিরিয়া) নগরী এবং পবিত্র
মক্কা (হেরেম) নগরীতে রক্তপাত ঘটবে। রক্তের নহর ছুটবে। মক্কায়
সেবার হজ্বে লুটপাট হবে।
১৪০০
বছর পর রক্তপাত নিষিদ্ধ
শহর বায়তুল হারামে রক্ত ঝড়বে। ইতি
মধ্যে সাম নগরীতে রক্তপাত
হচ্ছে ।
.যেইপবিত্র সামের বুকে ঘুমিয়ে আছে-
মহাবীর
খালিদ বিন আল ওয়ালিদ।
যেই সামে রাসূল (সা)
এর সাহাবা মোহাবিয়া (রা) এর ঘোড়া
ছুটেছে, যেই সামে রাসূল
(সা) এর দুজন স্ত্রী
সহ ৩০০ সাহাবার কবর
আছে সেই সামে রক্তপাত
হচ্ছে। এখন শুধুই মক্কাতে
রক্তপাত ঘটার বাকি আছে।
যেদিন বায়তুল হারামে রক্তপাত হবে, মানুষ খুন
হবে সেদিন বুঝে নিবেন ইমাম
মাহাদী এসে গেছেন।
."ইমাম মাহদী
"এর প্রকৃত নাম হবে মুহাম্মদ।
পিতা-মাতার নাম রসূলের মাতা-পিতার নামে নাম হবে।
ইমাম মাহাদী উনার উপাধী হবে।
.রসূল
সা, বলেন, যে ইমাম মাহদী
দেখতে হুবহু আমার মতই হবে
এবং আমার কলিজার টুকরো
ফাতেমার বংশে জন্মগ্রহন করবে।
সে আল্লাহর পক্ষ থেকে হিদায়েতপ্রাপ্ত
হবে। অতএব তোমরা কেহ
তাঁর দেখা পেলে তার
হাতে বাইয়াত গ্রহণ করিবে।
.আর
ইহুদীরা তাকে সন্ত্রাসী উপাধী
দিবে। তাই ইমাম মাহাদী
এলে তার হাতে বায়াত
গ্রহন করা জরুরী। কারন
ইমাম মাহাদীর পরের সময় টুকু
ইসলামের ভয়ংকর সময় হয়ে আসবে।
হজরত আদম (আ) থেকে
শুরু করে আজ অবধী
ইসলাম যে সংকট কাটিয়ে
এসেছে তার থেকে ২০০/৩০০গুন ভয়ংকর সংকট হবে এই
ইমাম মাহাদী পরবর্তী সময়।
.ফুরাত
ও দজলা নদী শুকিয়ে
যাবে এবং (বর্তমানে ৯৪%
শুকিয়ে গেছে) সেখানে স্বর্ণের পাহার আত্মপ্রকাশ ঘটবে, আর তা দখল
করার জন্য পৃথিবীর ৯৯%
মানুষ ও দেশ যুদ্ধে
লিপ্ত হবে।
এ
সময় আল্লাহ ত'য়ালা মিথ্যা
খোদা দাবিদার দাজ্জাল কে মুক্ত করে
দিবেন, তাকে শিকল মুক্ত
করে দেওয়া হবে। দাজ্জাল কতটুকু
ভয়ংকর, কতটুকু ভয়ংকর যে মুহাম্মদ (সা)
নিজেই আল্লাহর কাছে এই দাজ্জাল
থেকে পরিত্রান চেয়েছে। সাথে সাথে সাহাবীদের
সতর্ক করে গেছেন। এই
সংকটের চেয়ে ভয়াবহ সংকট
ইসলামে আসে নি আর।
মহানবী
বলেন-আমি এখন মরে
গেলে একবার কলেমা পাঠের দাবী নিয়ে আল্লাহর
কাছে জান্নাত দাবী করতে পারব
কিন্তু দাজ্জাল সাক্ষাত জান্নাত জাহান্নাম নির্ধারনের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
ঈমান শক্ত না হলে
তার মোকাবেলা করা অনেক কঠিন
হবে অনেক কঠিন।
দাজ্জালের
ফিতনা থেকে বাঁচতে নিয়মিত
নামাজ আদায় করুণ, সুরা
কাহফের প্রথম দশ আয়াত নিয়মিত
পাঠ করুন, সর্বদা দুয়া করুন, রসূলের
শিখানো দূয়া মতে।
.এখনো
সময় আছে দুনিয়ার হাসি
তামাশা থেকে ফিরে আসুন।
এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মিথ্যা মোহ-মায়ার বেড়া
জ্বাল থেকে বেরিয়ে আসুন।
আল্লাহর কালাম এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
সুন্নাহকে আকরে ধরুন। নিজের
সমস্ত গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে
মন থেকে তওবা করুন।এখনো
সময় আছে ফিরে আসুন
আপন মালিক এর নিকট। পরে
হাজার কিংবা লক্ষ কিংবা কোটি
কোটি বার চাইলেও আর
ফিরে আসার সুযোগ থাকবেনা।
.
আল্লাহ্
তায়ালা সবাইকে রক্ষা করুক আমীন। আসসালা মুয়ালাইকুম অয়ারাহ
মাতুল্লাহ
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.